ঈদ উল আজহার দ্বিতীয় দিনেও পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটায় ভিড় জমিয়েছে হাজারো পর্যটক। ঈদের দিন অথ্যাৎ রোববার (১০ জুলাই) বিকেল থেকেই সৈকতে পর্যটকদের আনাগোনা বাড়ে। এতে করে প্রাণচাঞ্চল্যতা ফিরে এসেছে পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে। পদ্মা সেতুর চালুর ফলেই আগের তুলনায় পর্যটকদের সংখ্যা বেড়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

তবে পর্যটকদের অভিযোগ, হোটেল মালিকরা রুম ভাড়া ও খাবারের দাম বাড়িয়ে নিচ্ছেন।
এদিকে পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তায় মাঠে কাজ করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।

সোমবার (১১ জুলাই) সকাল থেকে সমুদ্র কন্যা হিসেবে পরিচিত কুয়াকাটা সৈকতে পর্যটকদের উপস্থিতি বাড়তে শুরু করে। ঝাউবন, শুটকি পল্লী, রাখাইন মার্কেট, গঙ্গামতী ও লেম্বুরবনসহ বিভিন্ন দর্শনীয় স্পটে পর্যটকদের উচ্ছাসিত উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। এছাড়া সৈকতে চীন ও রাশিয়াসহ বিভিন্ন দেশের পর্যটকদেরর উপস্থিতিও লক্ষ্য করা গেছে। আগত অনেক পর্যটকই সমুদ্রের জলে গাঁ ভাসিয়ে তাদের ভ্রমণ উপভোগ করছেন।

ঢাকার শ্যামনগর থেকে আসা পর্যটক মিতুল-জুয়েল দম্পত্তি জানান, সকালে এসে আমরা সৈকতে নেমেছি। এখানের পরিবেশটা ভালোই লেগেছে আমাদের কাছে। তবে খাবারের দামটা একটু বেশি মনে হচ্ছে।

নেত্রোকোনা থেকে আসা পর্যটক মিরাজ উদ্দিন বলেন, ‘আমরা ১০ বন্ধু রোববার বিকেলে কুয়াকাটায় এসেছি। কিছু পর্যটন স্পট ঘুরে দেখেছি। তবে আকাশে মেঘ থাকার কারণে সূর্যদয় এবং সূর্যাস্ত উপভোগ করতে পারিনি। আমাদের কাছ থেকে ডাবল রুম ২ হাজার ৫০০ টাকা করে রাখা হয়েছে। কক্সবাজারের তুলনায় এখানে অনেকটা বেশি ভাড়া মনে হচ্ছে। তবে আমরা আমাদের ভ্রমণ উপভোগ করছি।’

কুয়াকাটা ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কেএম জহির বলেন, ‘পদ্মা সেতু চালুর ফলে আজ থেকে আগের তুলনায় পর্যটক অনেক বেশি। আমরা সাধ্যমত পর্যটকদের সেবা দিচ্ছি। তবে কেউ বেশি ভাড়া কিংবা খাবারের অতিরিক্ত মূল্য রাখলে প্রশাসনের কাছে জানানোর অনুরোধ করছি।

কুয়াকাটা ট্যুরিষ্ট পুলিশ জোনের পরিদর্শ হাসনাইন পারভেজ বলেন, ‘পর্যটকদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য প্রতিটি পর্যটন স্পটে ট্যুরিষ্ট পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এছাড়া আমরা বিভিন্ন আবাসিক ও খাবার হোটেল মনিটরিং করছি। বাড়তি ভাড়ার বিষয়ে পর্যটকদের কাছ থেকে অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।